শিরোনাম
॥ রোস্তম আলী মন্ডল ॥
দিনাজপুর, ১২ জুন, ২০২৪ (বাসস): দিনাজপুর ‘ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স’ রোগ নির্ণয় ও পরীক্ষা নিরীক্ষায় একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
দিনাজপুর বিএমএ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের অন্যতম নেতা ডাক্তার আব্দুল আহাদের সাথে কথা বলে এতথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আমি গত দু'বছর হল রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের পদ থেকে অবসর নিয়েছি। এখন নিজ জেলা দিনাজপুরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিভাগের সেবামূলক কাজ ও ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। এসব ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে জটিল ও পুরাতন রোগীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হয়। পরামানুর চিকিৎসা কেন্দ্রে স্বল্প মূল্যে এসব জটিল ও পুরাতন রোগীর পরীক্ষার সঠিক রিপোর্ট পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটেছে। এর মধ্য রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দিনাজপুর পরামাণু চিকিৎসা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে স্বল্প খরচে পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট শতভাগ নির্ভুল পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, দিনাজপুরের সন্তান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডাক্তার সাজ্জাদ হোসেন খন্দকার দিনাজপুরের ডায়াবেটিস হাসপাতালে প্রতি মাসে বিভিন্ন জটিল রোগের ফ্রি চিকিৎসা ও অপারেশন করছেন। এসব চিকিৎসায় জটিল পরীক্ষা গুলো পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে স্বল্প খরচে করা হচ্ছে। ১৯৮২ সালে দিনাজপুর সদর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে তৎকালীন পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রে ‘ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং এ্যালায়েড সায়েন্সেস’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম দিকে এই অঞ্চলের গলগন্ড রোগের আধিক্যের কথা বিবেচনা করে এই কেন্দ্র চালু হয়। এই ইনস্টিটিউট অত্র অঞ্চলের গলগন্ড রোগের চিকিৎসা ও এই রোগ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
এই কেন্দ্রের টেকনিশিয়ানরা জানান, ইনস্টিটিউটে দক্ষ জনবল এবং যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ প্রয়োগ করে Thyroid scanner and SPECT machine ব্যবহার করে Thyroid scan, Bone scan, Isotope Renogram, Renal scan এর মাধ্যমে, গলগন্ড, অস্থিতে ক্যান্সার ও সংক্রমণ রোগের উপস্থিতি এবং কিডনি রোগ নির্ণয় করা হয়। এছাড়া প্রতিদিনই আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। ইনস্টিটিউটে অভিজ্ঞ কর্মী ও যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রক্তে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়।
পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বি কে বোস জানান, এই চিকিৎসা কেন্দ্রে, রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি গলগন্ড , হাইপোথাইরয়ডিজম, হাইপারথাইরয়ডিজম, থাইরয়েড, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত সফলতার সাথে করা হয়ে থাকে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই ইনস্টিটিউটে মোট ৯২ হাজার ২৫৭ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।