শিরোনাম
॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ১৫ জুন,২০২৪ (বাসস) : গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহারের ভিজিএফ চাল পাচ্ছে ৯১ হাজার ৯২০ টি দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবার।
জেলার ৫ উপজেলায় পরিবার প্রতি ১০ কেজি করে মোট ৯০৯ টন ২০০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে। গত ১১ জুন থেকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারে ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার চাল বিতরণ শেষ হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল হক বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৯৫ টি দুস্থ পরিবারে ১৭০ টন ৯৫০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১৩ হাজার ১৭৫টি পরিবারে ১৩১ টন ৭৫০ কেজি চাল দেওয়া হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮ হাজার ২৪৮টি পরিবার পাবে ১৮২ টন ৪৮০ কেজি চাল। মুকসুদপুর উপজেলার ২০ হাজার ৬৭ পরিবারকে দেওয়া হবে ২০০ টন ৬৭০ কেজি চাল। টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৫ হাজার ৩৯১টি পরিবার পাবে ৫৩ টন ৯১০ কেজি চাল। এছাড়া গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৪ হাজার ৬২১ টি পরিবার পাবে ৪৬ টন ২১০ কেজি চাল। কোটালীপাড়া পৌরসভার ৪ হাজার ৬২১ টি পরিবারে ৪৬ টন ২১০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে । টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় ৪ হাজার ৬২১ টি পরিবারে বিতরণ করা হবে ৪৬ টন ২১০ কেজি চাল। মুকসুদপুর পৌরসভার ৩ হাজার ৮১ পরিবারকে দেওয়া হবে ৩০ টন ৮১০ কেজি চাল।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গত ১১ জুন থেকে এসব চাল জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৬৭ টি ইউনিয়নে একযোগে বিতরণ শুরু হয়। আজ শনিবার এসব চাল বিতরণ সমাপ্ত হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আমরা ভিজিএফের চাল বরাদ্দ পাওয়ার পর পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে চালের ডিও প্রদান করি। তারা খাদ্যগুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে গত ১১ জুন থেকে দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারে বিতরণ শুরু করে। এখন চাল বিতরণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোন কোন ইউনিয়নে বিতরণ সমাপ্ত হয়েছে।
কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ চৌধূরী কালু বলেন, আমার ইউনিয়নের ১ হাজার ৯৩০ টি দুস্থ ও হত দরিদ্র পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ভিজিএফ কার্ড পেয়েছে। গত ৪ ও ৫ এপ্রিল আমরা ওইসব কার্ডের চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ সম্পন্ন করেছি। এসময় ইউপি সদস্যগণ ও ট্যাগ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
দুস্থ নারী কাজলী বেগম, হাজেরা খাতুন, রোমানা আক্তার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য ঈদের উপহার হিসেবে ১০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। এছাড়া সরকার, প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ব্যক্তি সেমাই, চিনি, মাংস, চাল, ঈদ সামগ্রী, শাড়ি, লুঙ্গি, নগদ অর্থ দিয়েছে। এসব দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ টা ভালভাবে করতে পারব। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।