শিরোনাম
ফেনী, ১৫ জুন, ২০২৪ (বাসস): জেলায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। হাঁকডাক, দাম নিয়ে দরাদরিতে পশুহাটে ভিড় করছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা। ফেনী শহরের সিও অফিস বাজার, সদরের ফাজিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কোরবানি পশুর হাটে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে চলছে বেচাকেনা।
ফাজিলপুর বাজার কমিটি সূত্রে জানা যায়, হাটে ৩ থেকে ৪ হাজার গরু ছাগল উঠেছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ মানুষ গরু কিনে ফেলছে। দাম ও হাসিল নাগালের মধ্যে থাকায় গরু বিক্রি বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু হাটে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। তারা জানান, দাম বাড়তি হওয়ার কারণে ক্রেতারা শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা করে, যার কারণে বিক্রি কম হয়েছে। তবে শেষ মুহুর্তে বিক্রি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন গরু ব্যবসায়ীরা।
কালা মিয়া নামে একজন গরু বিক্রেতা জানান, বাজারে ৫টি গরু নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে ৩টি বিক্রি করেছি। ৯০ হাজার থেকে শুরু করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা অব্দি দামের গরু আছে। শেষ মুহুর্তে এসে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে।
নূর নবী নামের ফেনীর স্থানীয় এক খামারি বলেন, হাটে ৬টা গরু নিয়ে এসেছি। এখন পযর্ন্ত ৪টা গরু বিক্রি করেছি। শুরুতে তেমন ক্রেতা ছিল না যার কারণে বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। শেষ মুহুর্তে গরুগুলো বিক্রি হওয়ায় খুশি।
আরিফ নামের নামের আরেকজন গরু ক্রেতা জানান, শুরুতে বাড়তি দাম চাওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে দাম কিছুটা কমেছে। তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামে গরু কিনেছেন বলে জানান।
সাইফুল নামের আরেক ক্রেতা জানান, ৯৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি দেশি গরু কিনেছি। শুরুতে দাম নাগালের বাইরে থাকলেও আজকের বাজারে দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। আশা করি কোরবানির একদিন আগে গরুর দাম আরো কমে যাবে।
অন্যদিকে ফেনীর অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় তদারকি করছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার ও পুলিশ সুপার জাকির হাসান। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশুহাটে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে গত শুক্রবার জেলা জুড়ে পরিচালিত অভিযানে ৪ ব্যক্তির ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু রয়েছে বেশি। এবার জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৭ হাজার ২০০টি। তারমধ্যে বাণিজ্যিক ও পারিবারিকভাবে লালন-পালন করা হয়েছে ৯০ হাজার ২৫০টি গবাদি পশু। এরমধ্যে ৬৮ হাজার ৮০৪টি গরু, ৫ হাজার ৭২৮টি মহিষ এবং ১৫ হাজার ৭১৮টি ছাগল ও ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন খামারি ও চাষীরা।