শিরোনাম
টাঙ্গাইল, ২৪ জুন, ২০২৪ (বাসস) : উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার মির্জাপুর উপজেলায় ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে ধর্মীয় স্থাপনাসহ পাঁচ গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। ইতোমধ্যে অনেকে তাদের ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুইদিনে উপজেলার ফতেপুর এলাকায় ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিমপাড়া, সুতানরি, থলপাড়া, বানকাটা, থলপাড়া মাদ্রাসাপাড়া ও বানকাটা গ্রামের মসজিদসহ এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে ওই গ্রামগুলির ফসলি জমি, ঘর-বাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামগুলোর অনেক পরিবার তাদের বসতঘর সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। এছাড়া বানকাটা গ্রামের মসজিদ ও থলপাগা গ্রামের কবরস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।
বানকাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেন জানান, তারা চারভাই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। তারা এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। একই কথা জানান- বানকাটা গ্রামের বেলায়েত হোসেন। তিনিও ভাঙনের ভয়ে তার বসতঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুর রউফ বলেন, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ভাঙন কবলিত ওই গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন। আগামী দুইদিনের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলতে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলামকে নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য শুভ।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফতেপুর এলাকার নদী ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।