বাসস
  ০১ জুলাই ২০২৪, ২০:৫৭

সিলেট ও সুনামগঞ্জ আবারও বাড়ছে নদীর পানি

সিলেট, ১ জুলাই, ২০২৪ (বাসস): উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জে আবারও বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-র দেয়া তথ্যমতে সুরমা ও কুশিয়ারা, সারি, সারি গোয়াইন, ডাউকিসহ সব নদ-নদীর পানি রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শুধুমাত্র কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করলেও আজ সোমবার বিকাল পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর কয়েকটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপরে অবস্থান করছে।
 কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরে উপজেলার বিভিন্ন সুত্র জানায়,বাংলাদেশের উজানে ভারতে অতিবৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে লোভা ও ডাউকি নদীর পানি ব্যাপক স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে ও পানি বাড়ছে। নতুন করে সিলেটে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এতে আবারও দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে ধারণা করছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে আজ সোমবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো, কিন্তু রবিবার পর্যন্ত এ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচে ছিল। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর অমলশীদ পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেটে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৬৯ মিলিমিটার। এসময় ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে রাতভর বৃষ্টি ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে দ্বিতীয় ধাপে বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। এরইমধ্যে নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। প্রথম দফার বন্যার ক্ষত শুকানোর আগেই ফের বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছেন সুনামগঞ্জের নি¤œাঞ্চলের বাসিন্দারা। রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকেই পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি যাদুকাটা নদী হয়ে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।
এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিনদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ১৮৬ মিলিমিটার। এদিকে, সারারাত ও দিনভর সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় কারণে উজানের পানিতে সীমান্তের নিচু সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়