বাসস
  ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৮

আনসার আল ইসলামের তিন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০২৪ (বাসস): নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের তিনজন সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গ্রেফতারকৃত মো. মামুন হোসেন, আবু বক্কর ও হাসিবুল ইসলামের কাছ হতে ১টি ল্যাপটপ ও ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য। 
মো. মামুন হোসেন জানায়, সে অনলাইনে মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানী ও তামিম আল আদনানি’র বক্তব্য শুনে উগ্রবাদের দিকে আকৃষ্ট হয়। পরবর্তীতে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে বিভিন্ন আইডির সাথে যুক্ত হয়ে এ সংগঠনের হয়ে কাজ শুরু করে। সংগঠনের অপর সদস্য নাজমুল হাসান ওরফে ওসমান ও আবু কায়সার ওরফে রনির সাথে মামুনের অনলাইনে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। রনি মামুনকে জানায় ‘পটাশিয়াম নাইট্রেট’ দিয়ে বিস্ফোরক বা বোমা বানানো যায়। সেই সাথে আলীবাবা ওয়েব সাইট থেকে অর্ডার করার জন্যও মামুনকে নির্দেশনা প্রদান করে। 
এরআগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ২০১৯ সালে গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই সময় মামুন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আবু বক্করের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। মামুন আবু বক্করকে সংগঠনের নাহিদ ফেরদাউসের কথা বলে এবং নাহিদের সাথে যোগাযোগের নাম্বার ও হোয়াটসএ্যাপ নাম্বার দেয়। আবু বক্কর কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে অনলাইনে নাহিদ ফেরদাউসের সাথে যোগাযোগ করে। নাহিদ ফেরদাউস সংগঠনের জন্য বিদেশ থেকে আবু বক্করের কাছে নিয়মিত অর্থ পাঠায়। আবু বক্কর এই অর্থ সংগঠনের কাজে ব্যবহার করে। 
সিটিটিসি সূত্র আরও জানায়, পরবর্তীতে আবু বক্কর অপর গ্রেফতারকৃত হাসিবুল ইসলামকে আনসার আল ইসলামের দাওয়াত দেয় এবং নাহিদ ফেরদাউসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। হাসিবুল ইসলাম নাহিদ ফেরদাউস ও সংগঠনের অপর সদস্য জ্যাকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। 
তারা জনশক্তি বিদেশে প্রেরণের আড়ালে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের সদস্যদের বিদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করে এবং দেশে আনসার আল ইসলামের নেটওয়ার্ক স্থাপন করে। বিদেশে অবস্থানরত সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে নাশকতার পরিকল্পনা করে।
গ্রেফতারকৃতরা তাদের পলাতক সহযোগীদের নিয়ে বাংলাদেশের অখন্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘœ ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র করে। তারা নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে মিলিত হলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়