বাসস
  ০৮ জুলাই ২০২৪, ২০:২৩

লিজ দেয়া জুট মিলস লাভজনক কিনা খতিয়ে দেখার সুপারিশ স্থায়ী কমিটির

ঢাকা, ৮ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) মালিকানাধীন যে সকল মিলস লিজ দেয়া হয়েছে সেগুলো লাভজনক কিনা তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের সরকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। একই সাথে সম্পদটি সিকিউরিটাইজ করে বন্ড অথবা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে সরকারের কোনো লাভজনক কাজে ব্যবহার করা যায় কিনা তা বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ গ্রহণের জন্যও কমিটি সুপারিশ করে।
আজ সোমবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৭ম বৈঠকে সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এসব সুপারিশ করা হয়। সভায় কমিটির সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নুরুজ্জামান আহমেদ, মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, আনোয়ারুল আশরাফ খান এবং নাজমা আক্তার অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ; বিজেএমসি’র বার্ষিক রিপোর্টের বিষয়ে আলোচনা; বিজেএমসি’র ওপর সিএজি প্রণীত ও সংসদে পেশকৃত অডিট রিপোর্টের অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তির বিষয়ে পর্যালোচনা; বিজেএমসি’র ইউনিটসমূহের বিগত পাঁচ বছরের একীভূত স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় হিসাব ও লাভ-লোকসান হিসাব এবং উক্ত হিসাবের বিষয়ে কোনো বিশেষ প্রবণতা থাকলে সে বিষয়ে আলোচনা; বিজেএমসি’র প্রধান কার্যালয়ের সর্বশেষ হিসাব (আর্থিক ও কনফিডেনশিয়াল ম্যানেজমেন্টের রিপোর্ট); অধিকতর দক্ষ ও লাভজনকভাবে বিজেএমসি পরিচালনার বিষয়ে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা, কর্মদক্ষতা, উন্নয়ন ও মিতব্যয়িতা নিশ্চিতকরণের বিষয়সমূহ পর্যালোচনাসহ ৬ষ্ঠ বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিজেএমসির যে তিনটি মিলস এখনো লিজ প্রদান করা হয়নি সেগুলোকে ইকোনোমিক জোন কিংবা হাইটেক পার্কে প্রতিস্থাপন করা যায় কিনা তা নিরূপণে একটি বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরিপূর্বক সরকারের নিকট প্রেরণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ শহীদ পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোন, জাতীয় চার নেতা এবং ভাষা আন্দোলনে সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।