বাসস
  ১০ জুলাই ২০২৪, ১৩:৪৯

বরিশালের গিলাতলী ক্লাস্টারে ভূমিসহ ঘর পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন অনেকে

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ১০ জুলাই, ২০২৪ (বাসস):জেলার গিলাতলী ক্লাস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ২ শতাংশ ভূমিসহ ঘর পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অনেকে।
সংশ্লিস্ট সূত্র জানায়, জেলার সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’-এর গিলাতলী ক্লাস্টারে ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে ২ শতাংশ ভূমিসহ সর্বমোট প্রায় ২১৫টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার ২ শতাংশ ভূমিসহ বাসস্থানের ঘর পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন অনেকে। মাত্র তিনবছর পূর্বে সোনালী রাণী ও চারবছর পূর্বে শীলা রাণী সৎজন ২ শতাংশ ভূমিসহ ঘর পেয়েছেন। আর সেই থেকে তাদের জীবনের চাকা ঘুরে যায়। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আজ তারা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
সোনালী রাণী শীল বলেন, ভিটামাটি হীন স্বামী অমল চন্দ্র শীল একটি নর-সুন্দর (চুল,দাড়ী কাটা) দোকানে কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিসহ ঘর পেয়ে স্বামীর আয়ের পাশাপাশি দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি নকশীঁকাঁথাসহ সাধারণ কাঁথা সেলাই ও বিক্রির কাজ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, বড় ছেলে অপূর্ব চন্দ্র শীল বর্তমানে বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ও ছোট ছেলে বিকাশ চন্দ্র বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ৯ম শ্রেণীতে পড়েন। নকশীঁকাঁথা সেলাই করে বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। শীত মৌসুমে তিনি আয় করে দ্বিগুন।
শীলা রাণী সৎজন বলেন, স্বামী হৃদয় সরকার কাজ করেন ব্রিক ফিল্ডে। তিনিও মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে স্বামীর পাশাপাশি ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। স্বামী হৃদয় কাজের ফাঁকে স্ত্রী শীলা রাণীকে উপজেলার চরাঞ্চল থেকে হোগলপাতা সংগ্রহ করে দেন। সেই হোগলপাতা দিয়ে তিনি হোগলপাটি তৈরী করে মাসে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা আয় করেন। তাদের সুখের সংসারে একটি মেয়ে সুর্বনা ৫ম শ্রেণীতে পড়ে।
তিনি বলেন, একমাত্র মেয়ের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে। বর্তমানে তিনি প্রতিমাসে বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় করেন। স্বপ্ন দেখেন ঘুরে দাঁড়ানোর।
বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’-এর মাধ্যমে যাদেরকে পূর্নবাসন করা হয়েছে তাদের জীবনমান উন্নয়নে জেলা প্রশাসক কাজ করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রায় সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করছেন।