বাসস
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৮:০৬

নাশকতায় ডিএসসিসির ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা বিরোধী দুষ্কৃতিকারীদের তান্ডবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ক্ষয়ক্ষতির অর্থমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
নাশকতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঢাকাবাসীর পক্ষে আজ ডিএসসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের মালিক দেশের আপামর জনসাধারণ। কিন্তু সম্প্রতি কতিপয় সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারী তথা দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অতৃপ্ত ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের তা-বলীলায় মেতেছিল। এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনৈতিক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তীব্র নিন্দা জানায়।
বস্তুত এসব ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের হীন অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র দেশবাসীর কাছে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে ভয়াবহ নাশকতা চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করায় ঢাকাবাসীর আস্থার আশ্রয়স্থল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। ঢাকাবাসী বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যথাযথ ও দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে।
ডিএসসিসি জানায়, সাম্প্রতিক সহিংস দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কাজে নিয়োজিত ৩টি ড্রাম্প ট্রাক ও মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর টোলপ্লাজা জ্বালিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, কর্মকর্তাদের বহনকারী ৩টি গাড়ি ভাংচুর, যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া এলাকাসহ কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকার সড়ক বিভাজকের বেষ্টনী উপড়ে ফেলে সড়ক বিভাজক ধ্বংস ও তৎপরবর্তী সেসব স্থানের সড়ক খনন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সড়ক খনন কাজে ব্যবহৃত ম্যাকাডাম দিয়ে পিকেটিং, আজিমপুর ও এলিফ্যান্ট রোডে দুইটি যাত্রী ছাউনি ভাংচুর, সায়েন্সল্যাব মোড়ের হাতি ভাষ্কর্যের বেষ্টনী ক্ষতিগ্রস্ত, অঞ্চল-৯ ও ১০ এর বিপুল পরিমাণ ম্যানহোল কাভার লুটপাট এবং নীলক্ষেত থেকে ল্যাবএইড হয়ে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মিরপুর রোড হতে শংকর হয়ে ধানমন্ডি ১৯ নম্বর রোড, গ্রীন রোড, সায়েদাবাদ জনপদ মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী-কাজলা হয়ে শনির আখড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার হেঁটে চলার পথ (ফুটপাত) বিনষ্ট করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ও বাল্ব, ধলপুর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রসহ কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত মালামাল লুটপাট ও ধ্বংস করা হয়েছে।