বাসস
  ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩৫

কোটা আন্দোলনকালে ধ্বংসলীলার তদন্ত ও বিচার দাবি অর্থনীতি সমিতির

ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা ধ্বংসলীলা ও প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
সমিতির সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলন চলাকালে স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা রাষ্ট্রীয় সম্পদে ধ্বংসলীলা চালানো হয়। এই আন্দোলন ও ধ্বংসলীলা চালাকালে অনেক মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।’ 
তারা বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রন্ত হয়ে পড়েন। এরই প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। যদিও প্রতিদিনই কারফিউ শিথিল করা হচ্ছে, মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করছে এবং অফিস-আদালত, ব্যাংক-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং  কারফিউ উঠে যাবে।
কোটা আন্দোলনকারীদের কোটা সংস্কার দাবী সম্পূর্ণ পূরণ হয়েছে। এখন শিক্ষা প্রাঙ্গণগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্দোলন চলাকালে বিশেষ করে ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মেট্রোরেল, বিটিভি ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সেতু ভবন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বিভিন্ন স্থানের টোলপ্লাজা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মহাখালীর ডাটা সেন্টার, মহাখালী করোনা হাসপাতাল, পুষ্টি ইনস্টিটিউট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ অফিস, বিআরটিএ ভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। এছাড়া বহু ব্যাংক, দোকানপাট, অফিস, সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুর চালানো হয়েছে। দুর্বৃত্তরা নরসিংদীতে কারাগারে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও সকল কয়েদীকে বের করে দিয়েছিল। এসব ধ্বংসলীলা যারা সংগঠিত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এই বিচার প্রক্রিয়ায় যেন কোনো নির্দোষ-নিরাপরাধী কোনো ভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
সকল প্রকার গুজব ও সম্ভাব্য সন্ত্রাসী ঘটনা সম্বন্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সকল পক্ষকে একত্রিত হয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তদের দমন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে সুস্থ টেকসই গঠনতান্ত্রিক দেশ গঠনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য দেশবাসির প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।