শিরোনাম
॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৭ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : গোপালগঞ্জ জেলায় আভ্যন্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহ মৌসুমে ৬৩% চাল সংগৃহীত হয়েছে। গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত জেলার সরকারি খাদ্য গুদাম সমূহে এ পরিমান চাল সংগৃহীত হয়েছে বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানাগেছে।
সরকার প্রতি কেজি সিদ্ধ বোরো চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করে ৪৫ টাকা। আর আতপ চালের মূল্য নির্ধারণ করে ৪৪ টাকা। গোপালগঞ্জ জেলায় ১৩ হাজার ৪৮৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩০৬ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এরমধ্যে জেলার মিল মালিকদের সাথে ১৩ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন ৬৩৫ কেজি সিদ্ধ ও ৩০৬ মেটিক টন আতপ চাল সংগ্রহের চুক্তি করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। গত ৭ মে এ জেলায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৫৯ মেটিক টন ৯১৫ কেজি সিদ্ধ চাল সংগৃহীত হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৩%। আর আতপ চাল সংগৃহীত হয়েছে ১৫৩ মেট্রিক টন। আতপ চাল লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগ সংগৃহীত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৭৬৩ মেট্রিক টন,মুকসুদপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৪৬৭ মেটিক টন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩ হাজার ৩৬৭ মেট্রিক টন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৫৯৭ মেট্রিক টন ও কাশিয়ানী উপজেলায় ২৯৫ মেট্রিক টনসহ মোট ১৩ হাজার ৪৮৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা খাদ্য গুদামে ৩০৬ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সরকার।
ইতিমধ্যে জেলার মিল মালিকদের সাথে ১৩ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন ৬৩৫ কেজি সিদ্ধ ও ৩০৬ মেটিক টন আতপ চাল সংগ্রহের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক মিল মালিকরা ৮ হাজার ৩৫৯ মেটিক টন ৯১৫ কেজি সিদ্ধ চাল খাদ্য গুদামগুলোতে সরবরাহ করেছে। আতপ চাল দিয়েছেন ১৫৩ মেট্রিক টন।
এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ২৯%, মুকসুদপুরে ৭৮%,টুঙ্গিপাড়ায় ৬৫%, কোটালীপাড়ায় ৯২% ও কাশিয়ানীতে ৯১% চাল সংগৃহীত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ৩১ আগস্টের মধ্যে চাল সংগ্রহ অভিযান শতভাগ সফল হবে।
গোপালগঞ্জ সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রবীর কুমার কীর্ত্তণীয়া বলেন, আমাদের গুদামে ১ হাজার ৪৮মেট্রিক টন ৮৩০ কেজি চাল সংগৃহীত হয়েছে। গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত চাল সংগ্রহের হার ২৯%। চলতি মাসে ও আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার সব চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
মুকসুদপুর উপজেলার জামান অটো রাইস মিলের মালিক আসাদুজ্জামান বলেন, সরকার প্রতি কেজি চালের দাম ৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। খাদ্য গুদামে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করে আমরা খাদ্য মজুদ নিশ্চিত করতে সরকারকে সহযোগিতা করি। চুক্তির ৯৫% চাল ইতিমধ্যে সরবরাহ করেছি। গুদামে চাল সরবরাহ করে আমাদের কিছু টাকা লাভ হয়। সরকার বোরো মৌসুমের শুরুতে ধান-চালের দাম বেঁধে দেয়। তাই বাজারে ধান-চালের দাম ভাল থাকে। এতে কৃষক ন্যয্য মূল্যে ধান-চাল বিক্র করে উপকৃত হন বলে মন্তব্য করেন ওই মিল মালিক।