বাসস
  ২৯ জুলাই ২০২৪, ১০:৪২

মেহেরপুরে কলার জমিতে সাথী ফসল হিসেবে কপি চাষ

॥ দিলরুবা খাতুন ॥
মেহেরপুর, ২৯ জুলাই ,২০২৪ (বাসস) : জেলায় সবরিসহ বিভিন্ন জাতের কলার আবাদের ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে সবজি চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। বৈজ্ঞানিকভাবে ‘সাথী ফসল’ হিসেবে অন্যান্য আবাদ হলেও অসময়ে কলা ক্ষেতে শীতকালীনের সবজি পাতাকপি (বাঁধাকপি) মেহেরপুরে এ প্রথম।
একই খরচে কলাচাষের সাথে কপি আবাদে অতিরিক্ত খরচ না হওয়াতে কৃষক লাভবান হচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া, আমদহ, রঘুনাথপুর, আমঝুপি, উজ্জলপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে দেখা সাথীফসল হিসেবে কলার সাথে কপি চাষের চিত্র। লাভজনক এ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জেলাসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। ইতোমধ্যেই আগ্রহী কৃষকরা তাদের চাষের পরিমাণও বাড়াচ্ছে। কৃষকরা   বলেন, এক খরচেই কলা ও কপিচাষ হয়ে যায়। কপি বিক্রি করে চাষ খরচ উঠে আসে। বিনা খরচে কলাচাষ হয়ে যায়। কলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে কপিচাষে লোকসানের কোন শংকা থাকে না। কপি চাষেই কলাচাষের খরচ উঠে আসবেই। মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া, মনোহরপুর, কুলবাড়িয়া, নিশ্চিন্তপুর, গোভিপুর, হরিরামপুর, আমদহ, মোনাখালীসহ মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে কলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে শীতের সবজি পাতাকপি চাষ হচ্ছে।
বামনপাড়া গ্রামের কৃষক মো. সাদিকুল বাসস‘কে বলেন, এবার ১ একর জমিতে সবরি কলা চাষ করিছি। তার  সাথে‘সাথী ফসল’ হিসেবে পাতা কপি চাষ। গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে কলার সাথে পাতাকপির চারা রোপণ করি। বর্তমানে পাতাকপি বাজারজাতের সময় হয়েছে। পাতাকপি বিক্রি করেই কলাচাষের খরচ উঠে আসবে। ফলে কলাচাষে কোন খরচ হচ্ছেনা।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ বাসস‘কে বলেন, এক সঙ্গে একাধিক সাথী ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহী করতে প্রতিনিয়ত নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে কলা চাষের  সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ তুলনামূলক নতুন পদ্ধতি কপিচাষ। কৃষকদের আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। একই খরচে দুটি ফসল আবাদে উৎপাদন খরচ কম হওয়াতে কৃষক অতি আগ্রহী হয়ে সাথী ফসলচাষে নেমেছে।