শিরোনাম
॥ আবদুস সালাম আজাদ জুয়েল ॥
চাঁদপুর, ২ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৭ মিলিমিটার। এতে জেলাবাসীর স্বভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে।
ভারি বর্ষণের এই তথ্য জানান- চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব।
এদিকে বুধবার দুপুর থেকে টানা দুইদিনের ভারি বৃষ্টির কারণে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অসচেতনতার কারণে ড্রেনের মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে হচ্ছে বলে জানান পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
শহরের নাজির পাড়া, মাদ্রাসা রোড, পালপাড়া, নিউ ট্রাক রোড, রহমতপুর আবাসিক এলাকায় টানা বৃষ্টিপাতে সড়কে পানি জমে আছে। বৃষ্টি কমলে পানি কিছুটা হ্রাস পায়। আবার বৃষ্টি হলে একই অবস্থা।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলো খুলেছে। প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা থেকে বের হয়নি। বৃষ্টির কারণে দিনমজুর ও শ্রমিকদেরও কাজ বন্ধ হয়ে আছে গত কয়েকদিন ধরে।
শহরের পুরাণ বাজারের বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, শুক্রবারে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অনেক দোকান দেরিতে খুলেছে। যারা নির্মাণ শ্রমিক তারাও কাজে যেতে পারেনি। এতে করে নিন্মআয়ের মানুষ খুব বিপদে আছে।
শহরের মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির জানান, বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের সড়কে পানি। এখন পর্যন্ত একই অবস্থা। একটু পানি কমলেও বৃষ্টিতে আবারও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও বাসা বাড়িতেও পানি উঠে গেছে। পানি গড়িয়ে নামলেও কমছে না। বর্ষা মৌসুমের কারণে আবার নদীতেও এখন পানি ভরপুর।
শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকাল বাসিন্দা মহসীন মিয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার সড়ক ডুবে যায়। তবে সকালে কিছুটা পানি কমেছে। একটু আগের ভারি বৃষ্টিতে এখন কিছুটা বেড়েছে আবার।
সদর উপজেলার রামপুর এলাকার বাসিন্দা পলাশ পাটওয়ারী জানান, আমাদের এলাকায় সড়কে এখনো পানি উঠেনি। কারণ ডাকাতিয়া নদী পাশে থাকায় পানি নেমে যায়। তবে বৃষ্টির কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বৃষ্টির মাত্রা বেশি।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব বলেন, শুধু বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।আর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৭ মিলিমিটার। গতকাল সন্ধ্যার পরে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও মধ্যরাত থেকে আবার বেড়েছে। বিশেষ করে আজ শুক্রবার ভোর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যায়। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত আছে। এই হিসেব আরো বৃদ্ধি পাবে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত ট্র্যাফিক পরির্দশক (টিআই) মো. শাহ্ আলম জানান, টানা গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে চাঁদপুর-ঢাকা নৌ -পথের সব ধরণের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী চলাচল কমেছে।