শিরোনাম
পিরোজপুর, ১৯ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : জেলার বিভিন্ন উপজেলার উফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের আমন চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদের কাজ কয়েকদিন প্রায় বন্ধ ছিল। মাঠের পানি কমে যাওয়ায় চাষিরা দিন-রাত ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপণের উপযোগী করে তুলছে। তবে রোপণের জন্য আমন চারার কোন ঘাটতির খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টন আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলার ৭ উপজেলার ৫৩ টি ইউনিয়ন ও ৪ টি পৌর এলাকায় এবার ৬৪ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে উফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। জেলার সদরে আমন চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২০৯ হেক্টরে ১৯ হাজার ১৬ টন, একইভাবে ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৩৫৩ হেক্টরে ১১ হাজার ২৬১ টন, কাউখালীতে ৪ হাজার ৫৫৬ হেক্টরে ৯ হাজার ৩৭৪ টন, নেছারাবাদে ৬ হাজার ২১০ হেক্টরে ১২ হাজার ৪১৫ টন, নাজিরপুরে ৬ হাজার ২৮০ হেক্টরে ১৪ হাজার ৭৪০ টন, ভান্ডারিয়ায় ১০ হাজার ১৫৫ হেক্টরে ২১ হাজার ১২৮ টন এবং মঠবাড়িয়ায় ২২ হাজার ৩৭৭ হেক্টরে ৫১ হাজার ৪৬২ টন।
প্রায় ৯৫ শতাংশ কৃষক জমি চাষে ব্যবহার করছে ছোট ট্রাক্টর। গরু ও মহিষ দিয়ে চাষের কাজও চলছে কিছু-কিছু মাঠে। সার সহ কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় আমন চাষে চাষিরা আকৃষ্ট হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সংযুক্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুণ রায় বাসসকে জানান, কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে-মাঠে ঘুরে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। বীজতলার চারা তলিয়ে গেলেও পানি নেমে যাবার পর রৌদ্রের তাপ পেয়ে খুব একটা ক্ষতি হবেনা বলে আশা করছে চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমন চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের মতো চলতি বছরেও অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
সদর উপজেলার টোনা গ্রামের আমন চাষি নারায়ণ দাস জানান, আমাদের এই এলাকায় মূলতঃ আমন ধানের চাষ বেশী হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে কাঙ্খিত ধান বা চাল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।