বাসস
  ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৪:১৪

জয়পুরহাটে শিশু শুভ হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড

জয়পুরহাট, ২১ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): জেলার কালাই উপজেলায় সাত বছরের শিশু শুভকে অপহরণ করে হত্যা সংক্রান্ত মামলায় রেজাউল করিম ফকির নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সোয়া ১২ টায় জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত রেজাউল করিম ফকির কে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি ) গকুল চন্দ্র মন্ডল জানান, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত রেজাউল করিম ফকির (৪৫) কালাই উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের সাত্তার ফকিরের ছেলে। সে এ মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আদালত আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩ মার্চ কালাই উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর তোতার শিশু পুত্র স্থানীয় কাকলী শিশু নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শুভ (৭) বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। শিশু শুভকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাওয়া গেলে মা আলেয়া খাতুনকে বিকেল ৩ টায় ফোনে অপহরণের কথা জানায় আসামি রেজাউল করিম ফকির। খবর পেয়ে পিতা আব্দুল গফুর তোতা বাড়িতে এসে স্ত্রী আলেয়া খাতুনের দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসামির ফোন করা মোবাইল নম্বরসহ কালাই থানাকে অবহিত করে। পরের দিন ৪ মার্চ বিকেলে বাড়ির পাশে খড়ের পালার ভেতরে শিশু শুভর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ শুভর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় ওই দিনই পিতা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ কল লিস্টের সূত্র ধরে আসামি রেজাউল করিম ফকির কে গ্রেফতার করে। কালাই থানার উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল রেজাউল করিম ফকিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালত মামলায় ১৩ জনের স্বাক্ষী গ্রহণ করেন। আদালত রেজাউল করিম ফকিরের ১৬৪ ধারায় প্রদানকৃত স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আজ বুধবার দ-বিধির ৩০২/২০১ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ গকুল চন্দ্র মন্ডল এপিপি এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাডঃ এটিএম মিজানুর রহমান।