বাসস
  ২২ আগস্ট ২০২৪, ১১:৫৩

খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : পানিতে ডুবে আছে মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম

খাগড়াছড়ি, ২২ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : জেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও  পাহাড়ী ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতরাত থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে চেঙ্গী নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। পানি উঠেছে শহরের বিভিন্ন সড়কে। চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ায় পানছড়ির অনেক এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, পাহাড়ী ঢলে মাটিরাঙ্গা, রামগড়, দীঘিনালার অনেক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। এর মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে আছে  মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম। বর্মানে  জেলার লক্ষাধিক  মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
অতি ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাইনি ও কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায়  ডু্বে গেছে খাগড়াছড়ি -সাজেক সড়কের একাধিক অংশ। গতকাল বিকেল থেকে সাজেক সড়কের কবাখালি,বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং বাজারসহ একাধিক অংশ ৫থেকে ৬ ফুট পানির নীচে তলিয়ে যায়। এতে সড়কটিতে পর্যটকবাহী যানবাহনসহ সকল ধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ডুবে যাওয়ায়  সাজেকে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছে অন্তত আড়াই শ পর্যটক।  
এদিকে সড়ক ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সাথে পানছড়ি ও মহালছড়ি ও রাংগামাটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছেন । বন্যার্তদের উদ্ধার অভিযানে খাগড়াছড়ি সদরে কাজ করছে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। খাগড়াছড়ির পৌরসভার প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান," বন্যা দুর্গতদের জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫৫০ প্যাকেট  শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।  খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘন্টায় ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।