বাসস
  ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৫০

বন্যায় ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত: রেলপথ বন্ধ

// কামাল আতাতুর্ক মিশেল //
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২২ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 
আজ বৃহস্পতিবার মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা মিয়া বাজার হাইওয়ে পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসাইন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নবগ্রাম রাস্তার মাথা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার মহাসড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে ধীর গতিতে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত কাভার্ডভ্যান চালক এমদাদ মিয়া বাসসকে বলেন, বিকেল ৩টায় চৌদ্দগ্রামে যানজটের কবলে পড়ি। কালির বাজারের পর থেকে সড়কে পানি। এতে গাড়ি চালানো অনেক কষ্টকর। ধীর গতি হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেছে। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টা ধরে আটকে আছি। জাকির হোসেন নামের এক প্রাইভেটকার চালক বলেন, মহাসড়কে কালির বাজারের পর থেকে সড়কে হাঁটুপানি। ফলে গাড়ি চালানো অনেক কষ্টকর। ধীরগতি হওয়ায় সড়কে যানজট লেগেছে।
হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অ্যাডিশনাল ডিআইজি খায়রুল আলম বাসসকে বলেন, মহাসড়কে পানির কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের ফেনী ও চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চট্টগ্রামমুখী যানবাহন বেশ ধীর গতিতে চলাচল করছে। সময় যত যাচ্ছে অবস্থা ততই বেগতিক হচ্ছে। বর্তমানে যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেসব এলাকায় যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে। হাইওয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করছেন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।
এদিকে বন্যায় ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যার কারণে চট্টগ্রামের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রেল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, রেললাইনে পানি ওঠা ও পাহাড়ধসের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং রেলের সম্পদ রক্ষায় ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বন্যার কারণে ট্রেনগুলো গন্তব্যে যেতে পারেননি। বন্যার পানিতে কুমিল্লায় রেললাইন উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে। কক্সবাজার রুটে পাহাড় ধসও হয়েছে। এসব কারণে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচলরত আন্তনগরসহ সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।