বাসস
  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ১৯:০৩

হবিগঞ্জে বন্যার পানি কমছে, সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি ও সংগঠনের ত্রাণ তৎপরতা

হবিগঞ্জ, ২৪ আগস্ট ২০২৪ (বাসস) : জেলায় আজ খোয়াই, কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপরে হলেও শায়েস্তাগঞ্জ ও মাছুলিয়া পয়েন্টে পানি এখন বিপদসীমার অনেক নিচে আছে। অন্যদিকে, কুশিয়ারা ও কালনী-কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও তা এখনও বিপদসীমার উপরে রয়েছে। 
তবে, নদীর পানি কমলেও জেলার বন্যা কবলিত ছয়টি উপজেলার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সরকারীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হলেও অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় নিজ বাড়ীতেই অবস্থান করছেন। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন ত্রাণ বিতরণ করছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমি রানী বল জানান, সরকারীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলার ১৮ হাজার ২৪০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্থেও সংখ্যা ৭২ হাজার ৭৬০ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে এবং ওইসব আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৯০১ জন আশ্রয় নিয়েছেন। 
তিনি জানান, পানিবন্দি ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণের জন্য একহাজার ২৩৫ টন চাল মজুদ রয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ৩৪১ টন চাল। দুইহাজার ১৯০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ ছিল এবং একহাজার ৬৯০ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। নগদ ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ইতিমধ্যে ৯ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জে বন্যার্ত চারটি পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও শতাধিক মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছেন বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের জালালাবদ, নোয়াগাও, সুলতান মাহমুদপুর ও দুর্লভপুর গ্রামে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।