বাসস
  ২৫ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৫

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই : জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল

বেনাপোল, ২৫ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারি  জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই। গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতা-সৈনিকের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে জগদ্দাল পাথরের মত চেপে বসা ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়েছে।
রোববার বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রিয় মজলিশে শূরার সদস্য ও যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা মোবারক হুসাইন ও  কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজীজুর রহমান। সমাবেশ পরিচালনা করেন যশোর সাংগঠনিক জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস।
শহীদ পরিবারের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন শহীদ ইমতিয়াজ হোসেন রাজিবের পিতা নওশের আলী ও শহীদ তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা। অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, অর্জিত বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার সুবাতাস অনুভব করছি। দেশের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে।
বিজয়ের পরে দেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলার নাটক সৃষ্টি করে প্রতি বিপ্লব ঘটানোর পাঁয়তারা করেছিল পরাজিত শক্তি। জামায়াত দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছে। বিষয়টি বিশ^ মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে  যে সময় লাগবে। আমরা সেই সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দিতে রাজি আছি। সংস্কারের পরেই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে কেউ বলবে না, যে আপনাদের ভোট হয়ে গেছে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের মাত্র এক মাসের আন্দোলনে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এ আন্দোলনে এক হাজারের বেশি শহীদ হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে। সারাজীবন তাদের পাশে থাকবে। জামায়াতে ইসলামী সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে। সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।