বাসস
  ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৩:১৬

চাঁদপুরের মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ৬৪ কিলোমিটার এখন ঝুঁকিমুক্ত

চাঁদপুর, ২৭ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস): টানা বৃষ্টিপাতে জেলার মতলব উত্তর মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প নদী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিলো। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী, রাজনৈতিক সংগঠন, সড়ক বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সেচ প্রকল্পের ৬৪ কিলোমিটার এখন ঝুঁকিমুক্ত।
গতকাল সোমবার বিকেল সেচ প্রকল্প বাঁধের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্তু পাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কর্মকর্তারা।
এর আগে গত শনিবার মতলব সেতু থেকে শুরু করে মোহনপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে বেড়িবাঁধ সড়কের অন্তত ৩০টি বড় বড় গর্ত ও ধসে পড়া স্থান সংস্কার কাজ করেন বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। একই সময়ে সংস্কার কাজে অংশগ্রহণ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
এছাড়া বাঁধের সড়ক অংশে কিছু স্থানে নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো মেরামত কাজে শ্রমিক নিয়োগ করেন। তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় খুব দ্রুত গতিতে সড়কের গর্তগুলো মেরামত হয়।
এদিকে অতিবৃষ্টিরকারণে গত কয়েকদিন সেচ প্রকল্পের উদামদি পাম্প হাউজের মেশিনগুলো টানা চালু রেখে পানি নিস্কাশন অব্যাহত রাখা হয়। যে কারণে সেচ প্রকল্পের ভেতরে জলাবদ্ধতা তৈরী হয়নি।
মতলব উত্তরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য জাহিদ হোসেন জুয়েল ও মো. মানিক জানান, বড় একটা অংশে আমাদের সদস্যেদের নিজস্ব অর্থায়নে উদ্যোগ নিয়ে সড়কের গর্তগুলো সংস্কার কাজ করেছি। এই অংশের কাজে আমাদের সদস্যরাই অংশগ্রহণ করে।  কোনভাবেই যেন সেচ প্রকল্পের এই বাঁধ ও সড়ক বড় ধরণের ক্ষতি না হয় সেজন্য আমাদের এগিয়ে আসা।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সওজ চাঁদপুর সড়ক বিভাগ এই বাঁধের ৬৪ কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশ গত ৫ বছরে পৃথক টেন্ডার আহবান করে সড়ক নির্মাণ করে। সবশেষে কাজ হয় মতলব সেতু থেকে শুরু করে মোহনপুর পর্যন্ত। 
সওজ চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন আজ জানান, অতি বৃষ্টির কারণে সেচ প্রকল্প সড়কের যেসব অংশে গর্ত এবং ধস হয়েছে সেসব স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। আপাতত মাটি দিয়ে সংস্কার হচ্ছে। এরপর এসব স্থান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ মেরামত করবে।
মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্তু পাল আজ জানান, অতিবৃষ্টির আগে থেকেই আমরা বাঁধের বিষয়ে সতর্কে ছিলাম। মেঘনা নদীর অংশে আপাতত কোন সমস্যা নেই। ধনাগোদা নদীর অংশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করা হয়েছে। নদীর পানির উচ্চতাও বিপৎসীমার নীচে। আমরা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখছি।