শিরোনাম
॥ কামাল আতাতুর্ক মিসেল ॥
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): পাহাড়ী ঢল এবং অতিবৃষ্টিতে ফলে কুমিল্লার বন্যায় শতাধিক ইটভাটায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ইটভাটার বেশিরভাগ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে সেই সাথে তলিয়ে গেছে ইটভাটার জিগজ্যাগের পাইপ লাইন এবং ভাটাগুলোর কিলনের দেওয়াল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে জেলার ইটভাটায় প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
তবে কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন বন্যার পানি সম্পূর্ণরূপে নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে, এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।
জানা যায়, জেলার লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, বরুড়া, মনোহরগঞ্জ, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দাউদকান্দি, তিতাস ও মুরাদনগরের উপজেলাগুলোর অধিকাংশ ইটভাটায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৮০-৯০ টি ইটভাটার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার কারণে এসব ভাটাগুলোর দেওয়াল এবং জিগজ্যাগের পাইপ লাইন নষ্ট হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত ইটভাটাগুলো মেরামতে শত কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িচং উপজেলার ইটভাটগুলো মাঠে শুকানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখা কাঁচা ইট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ইটগুলো গলে কাঁদা হয়ে গেছে। এছাড়া আগুনে পোড়ানোর জন্য সাজানো ইটও গলে গেছে। বর্তমানে ইটভাটার অধিকাংশ জায়গা পানির নিচে রয়েছে।
ইটভাটা মালিকরা বলেছেন, বন্যার পানিতে কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন তাদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। নষ্ট ইটগুলো আঙিনা থেকে সরিয়ে পুনরায় পানি দিয়ে নরম করে ইট তৈরি করতে হবে। এতে সময় শ্রম ও অর্থ সব দিক থেকেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত।
বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেন ভুঁইয়া বাসসকে বলেন, বন্যায় জেলার ইটভাটাগুলোর লাখ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। হঠাৎ বন্যার কারনে, মূল্যবান দলিলাদি এমনকি গাড়িগুলোও সরিয়ে নেওয়া যায়নি, ফলে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। আবার উৎপাদনে যেতে হলে নতুন করে শুরু করতে হবে। বন্যায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল, যা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে এ বছর ইটের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারে ইটের সংকটও দেখা দিতে পারে।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব বাসসকে জানান, কুমিল্লায় ২৯১টি ইটভাটার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানি সম্পূর্ণরুপে নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে, এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।