শিরোনাম
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বন্যার পানি কমার সঙ্গে-সঙ্গে কুমিল্লায় তীব্র হয়ে উঠেছে গোমতী নদীর তীরবর্তী এলাকার ভাঙন। জেলার চৌধুরীকান্দি ও দিলালপুর এলাকায় তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যে অন্তত ২০-২২টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। সরেজমিনে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, গোমতী নদীর পানি কমার সঙ্গে-সঙ্গে নদীর তীরবর্তী তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে মুরাদনগর উপজেলার চৌধুরীকান্দি ও দিলালপুরের অন্তত ১০টি এলাকা।
উপজেলার দিলালপুর এলাকায় শরিফ মিয়া বাসসকে বলেন, ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভয়ে আছি। উপজেলা সদরের চৌধুরীকান্দি এলাকার সাজু মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে গোমতীর ভাঙন চলছে। এখন কোথায় যাব, তারও কোনো দিশা নাই। পরিবার নিয়ে খুব আতঙ্কে দিন পার করছি। একই এলাকার রাজু মিয়া বলেন, ভাঙন হুমকিতে রয়েছে এখানকার ২০-২২টি পরিবার। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, নদী ভাঙনের প্রধান কারণ হচ্ছে, শুকনো মৌসুমে অবৈধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যায় কিছু কুচক্রী মহল। বর্ষা মৌসুমে এর প্রভাব না পড়লেও, যখন নদীর পানি কমতে থাকে তখনই ভয়ঙ্কর রূপ নেয় নদী ভাঙন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিফাত উদ্দিন বলেন, ভাঙন শুরু হওয়া এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙন ঠেকাতে খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবে পাউবো।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বাসসকে বলেন, গোমতী নদীতে পানি কমার সঙ্গে-সঙ্গে গোমতীর কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। বাকি পয়েন্টগুলোর কথাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।