বাসস
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩:২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ রথিনের পরিবারের পাশে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ রথিন বিশ্বাসের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান গতকাল বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রামে শহিদ রথিনের গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে পৌঁছে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও কিছু সময় কাটান। তাদের খোঁজখবর নেন এবং সমবেদনা জানান। জেলা প্রশাসক রথিন বিশ্বাসের ভাই বিপ্লব বিশ্বাস ও ভাবি মাধবী বাড়ৈর হাতে খাদ্য ও উপহার  সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া তিনি রথিনের পরিবারকে সবধরণের সরকারি সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) শেখ শামছুল আরেফীন, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  শাহীনুর আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত, শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যজ্ঞেশ্বর বৈদ্য অনুপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ উজ্জ্বল বৈদ্য বিবেক জানিয়েছেন, রথিন বিশ্বাস (২৭) ঢাকার পশ্চিম রাজারবাগে উইলিয়াম কেরি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের শুয়াগ্রামে। বাবা প্রয়াত দানিয়েল বিশ্বাস ও মা প্রয়াত শেফালী বিশ্বাস।  বড় ভাই বিপ্লব বিশ্বাস ও একমাত্র বোন রুমা বিশ্বাস প্রতিবন্ধী। বড় ভাই বিয়ে করেছেন। এরা সবাই রথিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
তিনি গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে গিয়ে সংসদ ভবন এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স হাসপাতালে তিনি ওইদিন রাতে মারা যান। পরের দিন ৬ আগস্ট গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ আনা হয়। পরে খ্রিস্টিয় বিধান অনুযায়ী রথিনের মরদেহ বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করা হয়।