বাসস
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৪৩

জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জনগনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।
তিনি আরো বলেন, এই সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সরকার ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ট্রাষ্ট হিসেবে কাজ করছে। 
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংগলি আজ বিকেলে সচিবালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, গত ১৫ বছরে স্থানীয় সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিগণ খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারে না।
তিনি বলেন,  কিন্তু স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিগণ নির্বাচিত হলে তারা প্রকৃত অর্থেই স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারবে । 
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা  বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিগত সরকারের আমলে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের প্রতিনিধিগণকে অপসারণ করেছি। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।  যেসব ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে অভিযোগ ছিল তদন্ত সাপেক্ষে সেসব পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা চাই, স্থানীয় পর্যায়ের সকল স্তরের প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসুক। 
তিনি  জানান, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। সুইজারল্যান্ডসহ যেসব উন্নত রাষ্ট্র স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাফল্য  পেয়েছে প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক সমন্বয় এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।  
এ এফ  হাসান আরিফ বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একটি পরিবর্তন চেয়েছে। তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা কাজ করছি। একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা আমরা সবাই চাই। এজন্য সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন।
তিনি বলেন,  নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে পরিপূর্ণভাবে  ধ্বংস করা হয়েছে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। এছাড়াও  সভায় হেলথ্ স্যানিটেশন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। 
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, সুইজারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন  এবং হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিগনানি প্রমুখ।