বাসস
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১০

শহিদ শিশু রাতুল বগুড়ার নামাজ গড় গোরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত

বগুড়া, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪(বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শহিদ জুনায়েদ ইসলাম রাতুল  শহরের নামাজ গড় আঞ্জুমান ই গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলো । এর আগে মঙ্গল বার সকাল  সাড়ে ৭ টায় রাতুলের লাশ এসে পৌঁছায় বগুড়ার হাকির মোড়ে ঘনপাড়ার বাড়িতে। তার নামাজে জানাযা আজ সকাল ৯ টায় সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
বাড়িতে সকাল থেকে চলছে শুধুই শোকের মাতম।  সোমবার রাতুলের মৃত্যর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার হাজরো মানুষ  হাকির মোড়ের রাতুলের বাড়িতে ভিড় করতে থাকে।   সকাল সাড়ে ৭ টায় ঢাকা থেকে লাশ  এসে পৌঁছায় বগুড়ায় তার নিজবাড়ি বগুড়া উপ শহরের হাকির মোড়ে ঘনপাড়ায়। তখনও হাজার হাজার মানুষ রাতুলের মৃত দেহ এক নজর দেখার জন্য ভিড় করতে থাকে।  রাতে পুলিশকে জনতার ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হয়। রাতুলের  বাবা ,তার বোন জেরিন,ভগ্নিপতি আমির হামজা  ও রাতুলে মা রেকেয়া ছিল শোকে শোকে মুহ্যমান। বাবা জিযাউর রহমান  ছেলের কথা বলতে গিয়ে জানালেন, আমি এ মূহুতের কিছু বলতে পারবো না। শুধু এইটুকু বল্লেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ কত  ভারী এক মাত্র যাদের হয়েছে তারাই জানেন। আমি সরকারের কাছে এর বিচার চাই।
জানাজার   পূর্বে বক্তব্য  রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জামায়তের  কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ মোশারফ হোসেন, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান হিমু, পরিবারের পক্ষ থেকে আমির হামজা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিভাগীয়  প্রতিনিধি দলের সদস্য ফয়সাল আহমেদ, ইমাম হোসাইন ইমন।
এসময় বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন  শ্রেণী পেশার মানুষ  জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
গত পাঁচ আগস্ট সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্রজনতার বিক্ষোভে গিয়েছিল উপশহর পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাতুল। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্রজনতার মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে এগোচ্ছিল, সে সময় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাতুল। রাতুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে  প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা  । অবস্থার অবনতি হলে তাকে  রাজধানীর ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউ নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। ৪৮ দিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাতুল সোমবার ভোর ৫ টায়  মারা যায় ।