বাসস
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৪

বৈষম্যমূলক ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ সংশোধনের দাবি 

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ( বাসস): শ্রমিক, মালিক, আইনজীবীসহ সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক ও বিশেষজ্ঞগণ শ্রমিকদের কল্যাণে অবিলম্বে বৈষম্যমূলক ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। 
তারা বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শ্রমিকদের ইউনিয়ন ও যৌথ দর কষাকষির অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে শ্রম বিরোধ ও শ্রম অসন্তোষ নিরসন সহজ হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। 
সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর একেএম নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন সলিডারিটি সেন্টারের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিকা হার্টসেল, বাংলাদেশ কলকারখানা মহাপরিদর্শকের আইন কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, বিশিষ্ট আইনজীবী সেলিম আহসান খান, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) নেতা নাইমুল ইসলাম খান জুয়েল, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেত্রী  নাজমা আক্তার ও মো. আসাদুল হক।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৯টি ইপিজেড শিল্পাঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ ১৬ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ সংশোধনের মাধ্যমে শ্রমিকদের সমান অধিকার ভোগ করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকরা যাতে তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ বিচার চাইতে পারে সেই লক্ষ্যে শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। বিদ্যমান বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যে আইন বৈষম্য সৃষ্টির কারণ, সেই আইন  শ্রম অসন্তোষ বাড়ায়।
বক্তারা বলেন, ইপিজেডের শ্রমিকরা কোন ধরনের রাজনৈতিক বা অন্য কোন সংগঠনে যুক্ত হতে পারে না। একমাত্র শক্তিশালী সংগঠনই পারে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে। শক্তিশালী সংগঠনের জন্যে প্রয়োজন সচেতন শ্রমিক। 
তারা বলেন ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের আলোকে এ দাবি যুক্তিসঙ্গত যে, ইপিজেড শ্রমিকের আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অধিকার থাকা উচিত, বিশেষ করে তাদের সংগঠন করার অধিকার থাকা দরকার। বর্তমান ইপিজেড আইন শ্রমিক কল্যাণ এসোসিয়েশন তৈরির অনুমতি দিলেও, এই এসোসিয়েশনগুলো কোন বেসরকারী সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের সাথে সংযুক্ত হতে পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে একেএম নাসিম বলেন, শ্রমিক কল্যাণ এসোসিয়েশন গঠন করার অধিকারও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নানা ধরনের প্রচ্ছন্ন বাধা তৈরির মাধ্যমে খর্ব হয়।