শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪(বাসস): ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আজ ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এবং জাপান সরকার এবং এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশনের (এএসইএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) অধীনে স্টকপাইল প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে ডেঙ্গু কিট এবং কলেরা স্যালাইনসহ মেডিকেল সরঞ্জাম হস্তান্তর করেছেন।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে জানুয়ারিতে জাপান সরকার স্টকপাইল প্রকল্পের অধীনে ডিজিএইচএসকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিট সরবরাহ করেছিল। ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে এবার এই প্রকল্পের তহবিল হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ আটটি বিভাগকে সহায়তা করার জন্য ব্যবহার করা হবে।
গত ১৭ আগস্ট শুরু হওয়া মারাত্মক বন্যায় বাংলাদেশে খাবার পানি এবং পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, হাজার হাজার বাংলাদেশি ডেঙ্গু জ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
এবার দেওয়া চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু কিট, কলেরা স্যালাইন, নরমাল স্যালাইন, ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন এবং কোভিড-১৯ টেস্ট কিট।
৫০ হাজার কলেরা স্যালাইন অতিরিক্ত স্যালাইনের মধ্যে আইএফআরসি/বিডিআরসিএস বিশেষ করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লায় ২০,০০০ কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা আশা প্রকাশ করেন যে জাপান সরকারের সহায়তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে এবং বাংলাদেশে বন্যার কারণে সৃষ্ট সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বর্তমান বন্যা মানুষের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। আমি আশা করি এই তহবিল অন্যান্য দুর্যোগ ও রোগ মোকাবেলায় আরো ভালো প্রস্তুতি গ্রহণে বাংলাদেশ সরকার ও স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তরের সহায়ক হবে। জাপান এই পরিস্থিতির উন্নতি ও বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য আমাদের সহায়তা অতীতে রমতোই অব্যাহত থাকবে।