বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯

সাম্প্রতিক সহিংসতায় ৭ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি

খাগড়াছড়ি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়। অশান্ত পাহাড়ে ফিরতে শুরু করেছে শান্তি। তবে এখনো অদৃশ্য অজানা আতঙ্ক কাটেনি পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে। খাগড়াছড়িতে শান্তি ফেরাতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় সাম্প্রতিক হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ৩ জন নিহত ২০ আহতসহ ৮৭টি স্থায়ী ও সড়কের পাশে ভ্রাম্যমান ৯৪ ব্যবসায়ীদের দোকান পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। লুট-পাট করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৬টি দোকানের মালামাল। অগ্নিসংযোগ করা হয় গণপরিবহনেও ব্যাটারিচালিতি ইজিবাইক, সিএনজি, মোটর সাইকেলসহ ২০ গাড়িতে। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে ২৬টি দোকানে। এর মধ্যে স্থায়ী দোকানের মধ্যে বাঙ্গালীদের ৩০টি ও পাহাড়ীদের ৫৭টি দোকান রয়েছে।
লুট-পাট হওয়া মোবাইলের দোকান তারেং-এর স্বত্তাধিকারী কুসুম চাকমা বলেছেন, ‘আমার দোকানে ভাংচুর করে মোবাইলসহ ইলেকট্রনিক্সের সব মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার এবং বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে সেদিনের সহিংসতার ক্ষত চিহ্ন। দোকান পাটের মালামাল ভস্মীভূত অবস্থায় পড়ে আছে।
সেখানে গত কয়েকদিন আগেও সাজানো গোছানো ছিল দোকান পাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত ছিল। এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে। কয়েকটি দোকানের মালিক নতুন করে অবকাঠামো তৈরি করতে কাজ করছেন। অনেকেই জানিয়েছেন হতাশার কথা। ধারদেনা করে ঘুরে দাঁড়াবেন-তারও উপায় নেই। অনেকে আবার আগের ঋণ কি করে পরিশোধ করবেন তা নিয়েও চিন্তিত। লারমা স্কয়ার এবং বাস টার্মিনালে পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায়ের লোকজন ব্যবসা করতেন। বোয়ালখালী বাস টার্মিনালের পাহাড়িকা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক দিপন চাকমা বলেছেন, উপার্জিত সব অর্থ ব্যয় করে গত কিছুদিন হলো নতুন করে দোকান তৈরি করেছেন। দোকানে মালামাল ভরপুর ছিল। দোকানটি ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস। সহিংসতায় তার দোকান পুড়ে অন্তত ৪০/৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব। এখন তিনি কি করবেন, কিভাবে পরিবারের ভরণপোষণ চালাবেন, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।