বাসস
  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১৭
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:১০

জয় অপহরণ ও হত্যা মামলা : শফিক রেহমানের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার সাবেক তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করেছেন।
আত্মসমর্পন করে তিনি মামলার আপীল দায়েরের জন্য মামলার নকল ও তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত রয়েছে।
 সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পন করেন। এরপর তিনি মামলার আপীল দায়েরের জন্য নকল ও তার বিরুদ্ধে দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রত্যাহারের আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ পূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এই সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। শফিক রেহমান আজ আদালতে আত্মসমর্পন করে মামলার নকল উত্তোলন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে এ সাজা স্থগিতের আদেশ দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা।।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদ-ের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় তারা পলাতক থাকায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
দ-প্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
রায়ে আদালত অপহরণচেষ্টার দায়ে আসামিদের পাঁচ বছরের কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদ- দেন। পাশাপাশি হত্যার ষড়যন্ত্র করায় আসামিদের দুই বছরের কারাদ- ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদ- দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে ষড়যন্ত্র করেন। তারা আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।