শিরোনাম
ঢাকা, ১ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, প্রবীণদের দক্ষতা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী সমাজের উন্নয়নে তাঁদের কাজে লাগাতে উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি জীবনের প্রতিটি ধাপ গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের প্রতিটি ধাপেই সমাজের জন্য কাজ করার ও ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে।’
আজ আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আগারগাঁওস্থ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরর্শিদ বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
র্যালিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবীণব্যক্তি ও প্রবীণকল্যাণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহেদ পারভেজ।
আলোচনা সভায় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ, চেয়ারপার্সন শরীফ মোস্তফা হেলাল, প্রবীণব্যক্তিবর্গের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষক ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জীবন সদস্য ফেরদৌসী বেগম, বিসিকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জীবন সদস্য মঞ্জু আরা বেগম, সাবেক সচিব ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জীবন সদস্য এম শামছুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন,‘আপনারা প্রবীণরা নিজেদের অক্ষম ও অপাংক্তেয় মনে করবেন না। আপনাদের সমাজের জন্য অনেক কিছু দেবার আছে, সেইসাথে যথাযথ মর্যাদাও আপনাদের প্রাপ্য। বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করার চেষ্টা করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি,প্রয়োজনে আমরা আপনাদের সহায়তা করবো।’
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ উপলক্ষ্যে র্যালি, আলোচনা সভা, জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।