শিরোনাম
ঢাকা, ৩ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে নরওয়ের সহায়তা চেয়েছেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের নতুন রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন আজ বঙ্গভবনে তাঁর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ সমর্থন কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুশাসনকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবং দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা মোকাবেলা করে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসস’কে বলেন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, গত পাঁচ দশক ধরে নরওয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সুশাসনসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তিনি পল্লী উন্নয়ন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং সুশাসনের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি নরওয়ের অব্যাহত উন্নয়ন সহায়তার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতির উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি নরওয়েজিয়ান ব্যবসায়ীদের বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, সামুদ্রিক মাছ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি, সমুদ্রতটে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহার সেক্টরসহ সামুদ্রিক অর্থনীতির মতো বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, নরওয়েজিয়ান বেসরকারি খাত খাদ্য মূল্য শৃঙ্খল উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রতি নরওয়ের মানবিক সহায়তা এবং মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ টেকসই প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দীর্ঘ সঙ্কট সমাধানের প্রতি অঙ্গীকারও স্বীকার করেন। বাংলাদেশ ও নরওয়ের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আগামী দিনে আরও গভীর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতি সাহাবুদ্দিন তাকে এখানে তার দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছার পর প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।