শিরোনাম
ঢাকা, ৩ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : জুলাই-আন্দোলনের সময় চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসার জন্য বিদেশি চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি দল বাংলাদেশে আসবে।
ডিজিএইচএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন নগরীতে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও অরবিস ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘এ কল টু অ্যাকশন : অ্যাড্রেসিং দ্য ক্রাইসিস অব ইনজুরিজ ডুমুর দ্য জুলাই মুভমেন্ট’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা জানান।
চীনের একটি মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসেছে এবং সাত দিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে আরও বিদেশি চিকিৎসক আসবেন।
ডিজি বলেন, চীনা দলটি অবশ্য রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় চিকিৎসকদের দক্ষতার প্রশংসা করেছে।
ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডিজিএইচএসকে জাতীয় চক্ষুবিদ্যা ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালের মাধ্যমে রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা দিতে বলেছে।
তিনি বলেন, যাদের দ্রুত প্রতিস্থাপন প্রয়োজন তাদের কর্নিয়া আমদানি নিশ্চিত করতে ডিজিএইচএস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে।
এছাড়া আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পুনর্বাসনের দায়িত্ব স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নেবে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক নাজমুল সাজেদা ফাউন্ডেশন ও অরবিসের মতো বিভিন্ন সংস্থার সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ডিজিএইচএস, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অফথালমোলজি অ্যান্ড হসপিটাল (এনআইওএইচ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ঢাকা, ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, বাংলাদেশের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সোসাইটি, চক্ষু খাতে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মেডিসিন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং জুলাই আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান ¯িœগ্ধ বলেন, আহতদের চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হবে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ইনস্টিটিউটের আইপিডিতে প্রায় ৭৩৬ রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে, ৫০৪টি জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন রোগীর কর্নিয়া প্রতিস্থাপন প্রয়োজন।
ঢাকা সিএমএইচ এর চক্ষুরোগ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. জুলফিকার হাসান বলেন, আহত রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সহানুভূতির সঙ্গে সঠিক ও বাস্তবসম্মত কাউন্সেলিং দিতে হবে।
বাংলাদেশ আই হসপিটালের ডা. নিয়াজ আবদুর রহমান ও অধ্যাপক শফি খান বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহতদের অস্ত্রোপচারের খরচে তারা ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছেন এবং বাকি খরচ বেসরকারি দাতারা বহন করতে এগিয়ে এসেছেন।