শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৪ অক্টোবর ২০২৪ (বাসস) : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সিইউএফএল সার কারখানায় একটি নির্মাণ কাজের টেন্ডার দাখিল করায় এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উপজেলার বারশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া এলাকার হাজী মো. সৈয়দ নুরের ছেলে এরশাদ নাবিল খান (৩৯) বাদী হয়ে আজ শুক্রবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন জানিয়েছেন, এক ব্যক্তিকে অপহরণ, মারধর ও পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় সুনির্দিষ্ট ১৫ জন ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে সাবেক এ মন্ত্রীর এপিএস রিদওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, এসএম আলমগীর চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন, যুবলীগের সদস্য সচিব অনুপম চক্রবর্তী, সগীর আজাদ, আইয়ুব আলী, ইউপি চেয়ারম্যান আমিন শরীফ, আব্দুল আজিজ চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হায়দার রুবেল, ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস, চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, অসীম কুমার দেব ও আজিজুল হক বাবুলকে।
মামলার আরজিতে বাদী এরশাদ নাবিল খান অভিযোগ করেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি হওয়ার পর থেকে তার নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর মাধ্যমে নিজ সংসদীয় এলাকা আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এলাকার সকল ঠিকাদারি কাজ তার বাহিনী এবং পছন্দের লোকদের দিয়ে করিয়েছে। এ সময় বাদী একটি নির্মাণ কাজের টেন্ডার দাখিল করায় মন্ত্রী প্রচ- ক্ষুব্ধ হয়। এর জের হিসেবে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় তাকে চাতরি চৌমুহনী বাজার এলাকা থেকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় আসামিরা। এরপর তাকে একটি ঘরে আটকে মারধর এবং মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে তিনি ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসেন।
বাদী আরজিতে বলেন, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে তার লালিত বাহিনী এ অপহরণের ঘটনা ঘটায়। সে সময় ভূমিমন্ত্রীর দাপট ও প্রতিকার না পাওয়ার আশঙ্কায় তিনি মামলা করার সাহস করেননি।