শিরোনাম
ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): বিদ্যমান শ্রম আইন সংশোধনের জন্য ৪০টি সুপারিশ তুলে ধরে বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, দেশের সব সেক্টরের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক একক আইন প্রণয়ন করতে বিদ্যমান শ্রম আইনের সংশোধন জরুরি। শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষায় একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে শ্রম আইন সংশোধন ও শ্রমিক অধিকারের সুরক্ষা শীর্ষক এক কর্মশালায় শ্রম বিশেষজ্ঞগণ এসব কথা বলেন।
বিলস ও সলিডারিটি সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার এডভোকেট নজরুল ইসলাম কর্মশালায় শ্রম আইনের অসঙ্গতির ৪০টি সুপারিশসহ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- সলিডারিটি সেন্টারের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অ্যাডভোকেট একেএম নাসিম, ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চৌধুরী আশিকুল আলম, রাজেকুজ্জামান রতন, তপন দত্ত, এএম নাজিমুদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, সাকিল আখতার চৌধুরী, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম, চৌধুরী আলবাব কাদির, সিফাত ই নূর খানম ও অ্যাডভোকেট তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।
শ্রম বিশেষজ্ঞগণ বলেন, বৈষম্যহীন শ্রম পরিবেশ নিশ্চিত ও শ্রমিকের নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্তিমুলক সংশোধন জরুরী। একটি দেশের জন্য একক শ্রম আইন শ্রম বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিরাট সহায়ক হবে। শ্রম আইন মালিক-শ্রমিক উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই হয়ে থাকে। বর্তমানে শ্রম আদালতে ২১ হাজার মামলা রয়েছে। এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি জরুরী উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারের জায়গাগুলো ক্রমশই সংকুচিত হয়েছে।
তারা বলেন, বিদ্যমান শ্রম আইনে বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের সুরক্ষায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে জটিলতা নিরসন, শ্রম আইন লংঘনে শাস্তি বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি রোধ, শ্রম আদালতের বিলম্বিত বিচারিক প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করা, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্রমিকের নাগরিক মর্যাদা যথাযথভাবে উল্লেখ না থাকায় শ্রম বিরোধ জটিল হচ্ছে।