বাসস
  ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২

গোপালগঞ্জে পূজায় বরাদ্দ ৬৪৭ টন চাল বিতরণ শুরু

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) ৬ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): গোপালগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবে বরাদ্দকৃত ৬৪৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।আজ রোববার সকাল ৯টা  থেকে বরাদ্দ চাল বিতরণ শুরু হয়। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে চাল বিতরণ সম্পন্ন হবে।
উৎসব মুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা  উদযাপনের জন্য সরকার ৬৪৭ মেট্রিক টন চাল  বরাদ্দ দিয়েছে । পূজা মন্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মন্দির কমিটির সভাপতি বা সম্পাদক এ চাল উত্তোলন করছেন। এ চাল দিয়ে মন্দিরে আগত ভক্তদের প্রসাদের আয়োজন করা হবে বলে জানাগেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আশ্রাফুল হক বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৩৫১ টি পূজা মন্ডপের জন্য ১৭৫ মেট্রিক টন ৫০০ কেজি চাল, কাশিয়ানী উপজেলার ২৩৬ টি পূজা মন্ডপের জন্য ১১৮ মেট্রিক টন চাল, কোটালীপাড়া উপজেলার ৩২২ টি পূজা মন্ডপের জন্য ১৬১ মেট্রিক টন  চাল, মুকসুদপুর উপজেলার ২৯৩ টি পূজা মন্ডপের জন্য ১৪৬ মেট্রিক টন ৫০০ কেজি চাল ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৯২ টি মন্ডপের জন্য ৪৬ মেট্রিক টন চাল সরকার বরাদ্দ দিয়েছে । জেলার ৫ উপজেলার ১ হাজার ২৯৪ টি মন্ডপে সরকার মোট ৬৪৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে ।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা ৫ উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের কাছে মন্ডপের তালিকা পাঠিয়েছি। মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা  পূজার বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করবেন । পূজা শুরুর আগেই মঙ্গলবারের মধ্যেই আমরা চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ করব।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, আমরা  ৩৫১ টি পূজা মন্ডপের জন্য  ১৭৫ মেট্রিক টন ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ পেয়েছি। মন্ডপগুলোতে আমরা আজ রোববার থেকে  চাল বিতরণ শুরু করেছি । আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে চাল বিতরণ সমাপ্ত হবে। চাল বরাদ্দ পাওয়ার পর বিতরণের প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করি । এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকদের অবহিত করা হয় । পূজা শুরুর আগেই  আমরা চাল বিতরণ সমাপ্ত করতে পারব।
গোপালগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার সিকদার বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে  সরকার প্রতি বছর চাল বরাদ্দ দিয়ে আসছে। এ বছর সরকার  গোপালগঞ্জ জেলায় ৬৪৭ মেট্রিক টন  চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এ চাল দিয়ে মন্দিরে আগত ভক্তদের সেবা ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হবে।  পূজার দিনগুলোতে ভক্ত সেবার খিচুড়ি প্রসাদের আয়োজন সাধারণত এ চাল দিয়েই হয়ে থাকে । সরকারের সহযোগিতায় আমরা এ বছরও  উৎসব মুখর পরিবেশ পূজা উদযাপন করব। এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।