শিরোনাম
ঢাকা, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): র্যাব-২ ও ৮ এর যৌথ আভিযানে অপহৃত ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নূর তুষারকে (৮) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন আমরাগাছি হোগলপাতি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে গত রাতে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজধানীর সদরঘাট থেকে দুষ্কৃতিকারীরা গত ৩০ সেপ্টেম্বর তুষারকে অপহরণ করে।
আজ র্যব’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আরো জানায়, ঘটনাস্থলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ভিকটিমকে রেখে পালিয়ে যায়। এই অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহৃত শিশু ভিকটিম তুষারকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
র্যাব ফোর্সেস প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি এ পর্যন্ত অপহরণের শিকার ১৫৪২ জন পুরুষ, ১৭৩৯ জন নারী ও ৭৭০ জন শিশুসহ সর্বমোট ৪০৫১ জন অপহরণের শিকার ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকা থেকে তুষারকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয় ঘটনার আগে ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচিত হয়। পরিচয়ের সুবাদে ভিকটিমকে সঙ্গে করে তার মা ঘটনার দিন উক্ত বাদলের সঙ্গে দেখা করতে সদরঘাটের সোয়ারীঘাট এলাকায় গেলে তুষারকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে মা’র থেকে আলাদা করে অপহারণ করা হয়। তার মা সন্তানকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে কোতওয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ডিএমপি’র কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এ একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ২ অক্টোবর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ভিকটিমের মাকে ফোন করে মুক্তিপণ ২,০০,০০০ (দুই লাখ) টাকা দাবী করে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। ভিকটিমের পরিবার মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অপহরণকারীদের ৬ হাজার টাকাও প্রদান করে। অপহরণকারী বাদল ওরফে হৃদয় মুক্তিপণ আদায় করতে ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা র্যাব-২ এর নিকট ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য লিখিত আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে অপহৃত ভিকটিম’কে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে অপহরণকারীদের গতিবিধি সনাক্ত করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।