বাসস
  ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৭

আহতদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে মেডিকেল টিম আনার প্রক্রিয়া চলমান: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে মেডিকেল টিম আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 
তিনি বলেন, যারা আহত হয়েছেন বিশেষকরে যারা চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে মেডিকেল টিম এনে (চীন, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ হতে) চিকিৎসার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আজ সোমবার বিকাল ৪ টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 
ইতোমধ্যে চীনের এডভান্স মেডিকেল টিম বাংলাদেশে এসেছেন জানিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত চক্ষু রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য সেবা ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে নেপাল হতে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নগরীর আগারগাঁও’র জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এসেছেন। এছাড়া আজ সোমবার ফ্রান্সের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও আসছেন বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্য যুক্তরাজ্য হতে অর্থোপেডিক চিকিৎসক সেবা দেয়ার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। 
ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে নিহত ও আহতদের প্রাথমিক তালিকার বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতকৃত তালিকা সর্বসাধারণের যাচাইয়ের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ডাটাবেইজ তৈরি করে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সারাদেশে (৬ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত) মোট শহিদের সংখ্যা এখন পর্যন্ত  ৭৩৭ জন এবং আহতের সংখ্যা ২২ হাজার ৯০৭ জন।
ডেঙ্গু বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের সকল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু কর্নার স্থাপন, প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং অন্যান্য সামগ্রির সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, ল্যাবরেটরিতে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও অন্যান্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গুর দুটি দিক আছে। একটি হচ্ছে প্রতিরোধ, আরেকটি চিকিৎসা। আমরা যদি প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে সচেতন করতে পারি তাহলে ডেঙ্গুর প্রতিকার করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা: মো. সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।