শিরোনাম
বগুড়া, ৮অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : জেলার সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
নদীর তীর রক্ষা চলমান কাজের ২৫ মিটার ভেঙ্গে গেছে বলে জানান, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির।
ভাঙ্গন রোধে কাজ হচ্ছে এমনটি জানান পাউবো ওই কর্মকর্তা। গত কয়েক দিনের ভাঙনে ২০ টি বাড়ির বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে।
অনেক ফসলী জমির পানিতে তলিয়ে গেছে।। ভাঙনে বিনিদ্র রাত পার করছে চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ৫ হাজার মানুষ । বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের গভীর সেচ প্রকল্পের গভীর নলকূপটি কয়েকদিন আগে বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে । বগুড়া পাউবো ইতো মধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামে বাঙালি নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঙালি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনের নদী ভাঙনে এ গ্রামের ৫০০ বিঘার বেশি ফসলী জমি বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে। এ গ্রামের ইন্দ্র, সূর্য, প্রভাত, চন্দ্র, গৌর, দিনেশ, সুবল, সন্তেশ, অনন্ত, গেনা, খট্টু, মনু, কালে, নিমাইসহ ২৫ টি পরিবারের লোকজনের বাড়িঘর বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তারা এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বসতভিটা বিলীন হয়েছে বাঙালি নদীতে। বাঙালি নদীর ভাঙনে পাথারের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল এখন হুমকিতে রয়েছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ৫ হাজারের বেশি মানুষ বাঙালি নদীর ভাঙনের শিকার হবে। চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ফসল উৎপাদনের জন্য স্থাপিত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের গভীর নলকূপটি গত কয়েকদিন আগে বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে কৃষকের ফসলী জমি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।