শিরোনাম
ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, বিগত পনের বছরের জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান একদিনে হবে না।
তিনি আজ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বর্ষা মৌসুমে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আয়োজিত এক প্রস্তুতি ও কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন।
হাসান আরিফ বলেন, জলাবদ্ধতা ঢাকা মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয় ।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ধাপে ধাপে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হবে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা বা মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, এ বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ এবং যাদের জলাবদ্ধতার উপর লেখালেখি ও গবেষণা আছে তাদেরকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, “ আমরা তাদের কথা শুনবো, মতামত গ্রহণ করবো এবং সেটাকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। জলাবদ্ধতা দূর না হলে আমরা বুঝবো জনগণ নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের চলাফেরা কমে যাচ্ছে, চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না, স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অসুখ বিসুখ হচ্ছে। তাই জলাবদ্ধতা দূর করা একান্ত জরুরী।
তিনি বলেন, শহরের মধ্যে কেন পানি থাকবে, যেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গলদটা কোথায় সেটা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাসান আরিফ জানান, শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়ের একমুখী উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। নাগরিকদেরকেও সচেতন হতে হবে। নর্দমায় প্ল্যাস্টিকের বোতল, ওয়ান টাইম ব্যবহার করা কাপ, পলিথিনের ব্যাগ এবং ডাবের খোসা মন্ত্রণালয় গিয়ে ফেলে আসে না, জনগণ ফেলে।
তিনি জানান, জনগণ সচেতন না হলে মন্ত্রণালয় এক কোটি পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়েও নর্দমায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে না। নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকেও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ সহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।