শিরোনাম
ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : আজ এক আলোচনা সভায় বক্তারা নারীর অধিকার রক্ষায় সংশ্লিষ্ট পক্ষের রাজনৈতিক ও আইনি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার স্থায়ী সমাধানের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি বুধবার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
রাজধানীর এনএইচআরসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা নিছক আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না।
কামাল উদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, ‘বিশেষ করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতির মাধ্যমে নারীদের প্রতি সহিংসতার মূল কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
‘দলিত’ নারীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের কথা তুলে ধরে এনএইচআরসি চেয়ারম্যান নারী কর্মীদের অধিকার রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
তিনি কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সকল সেক্টরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
অংশগ্রহণকারীরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আরো গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সকল প্রকার লিঙ্গ-ভিত্তিক বৈষম্য দূর করার জন্য বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার সুপারিশ করেন।
কামাল উদ্দিন বলেন, এনএইচআরসি ইতোমধ্যেই যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা খসড়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অংশগ্রহণকারীরা এই গুরুত্বপূর্ণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের আশা প্রকাশ করেছেন।
আলোচনায় অংশ নেন- ইউএনডিপি, অক্সফাম, ইউনিসেফ, বিডব্লিউএনএলএ, ব্র্যাক, নারীপক্ষ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল ও ইয়ুথনেট গ্লোবালসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসত মোকাবেলায় যুব সমাজের অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ড. তানিয়া হক বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা কার্যকরভাবে মোকাবেলায় নীতিমালা পরিবর্তনের পাশাপাশি সকলের মানসিকতারও পরিবর্তন করা উচিত।