বাসস
  ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১০

গ্রামীণ নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামীণ নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। নিজেরা গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উপদেষ্টা আজ রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ-এ (কেআইবি) বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। 

তিনি বলেন, বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারী থেকে কয়েক দফা হাত বদল হয়ে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়। এজন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কিভাবে ডিম পৌঁছানো যায় সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা চলছে। এছাড়া রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়। তাই মজুদ নয় চাহিদার আলোকে আমাদের কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। বন্যার কারণে দেশের অনেক খামার নষ্ট হয়েছে। এসব খামার উৎপাদনে যেতে কিছুটা সময় লাগছে। সব মিলিয়ে সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। 

সিন্ডিকেট ডিমের মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এসব বিষয় মাথায় নিয়েই কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে পাইকারিতে কিছুটা দাম কমছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে।’ 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং ওয়াপসা-বিবি এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ এর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও ওয়াপসার সভাপতি মসিউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী।