শিরোনাম
দিনাজপুর, ১৪ অক্টোবর ২০২৪ (বাসস): জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় আজ সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী-সহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে চারশ’জন অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার এজাহারকারী নাজমুজ সাহাদাত বিপ্লব (৩৩) দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের আতাউর রহমানের পুত্র।
সোমবার বিকালে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসানাত খাঁন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর সন্ধা সাড়ে ৫ টায় দিনাজপুর -রংপুর মহাসড়কের উপর চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর বাজারে খানসামা মোড়ে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে মামলার অন্যতম আসামী সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৭০)-এর নির্দেশে তার ছোট ভাই আসামী এম শামীম হাসান (৬৫), খানসামা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী লায়ন (৫০), চিরিরবন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. তারিকুল ইসলাম (৬৫), চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক মুকুল (৫৫)-এর নেতৃত্বে চারশতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল, ককটেল,আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। আসামীদের ছোঁড়া গুলিতে বাদীর ছোটভাই ইসলামী ছাত্র শিবির কর্মী মোজাহিদুল ইসলাম মুজাহিদ (২০) গুরুতর আহত হন।
পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়। মোজাহিদুল ইসলামের মৃত্যুর পরেরদিন রংপুর কোতোয়ালী থানায় ৪৫৯/২০১২ নং অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়। রংপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ তার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। নিহত মুজাহিদের মরদেহ পরদিন ৪ ডিসেম্বর বিকেলে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামীদের হুমকীর কারণে এ হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবার চিরিরবন্দর থানায় কোন মামলা দায়ের করতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমানে দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ থাকায় আসামীরদের বিরুদ্ধে এজাহারকারী এ মামলা করেছেন।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।