বাসস
  ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৩৬

নতুন মামলায় গ্রেফতার সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিন

ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আরো এক মামলা এবং  উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে আরো ৫ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার  অভিযোগে এসব মামলা দায়ের করা হয়।

আজ মঙ্গলবার তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নুরুল হুদা তাদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখান।  

জাহাঙ্গীরকে উত্তরা পশ্চিম থানার বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স লিমিটেডের বিএটিসি বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর নুরুল আবছার (২২) হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় জাহাঙ্গীর ৬ নম্বর আসামী।  

মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে উত্তরা পূর্ব থানার হাউজ বিল্ডিং মোড় এলাকার ব্যবসায়ী মো. জসিম (৩০) হত্যা মামলা, উত্তরা পশ্চিম থানাধীন আর কে টাওয়ারের সামনে মো. সাগর (১৯) হত্যা মামলা, উত্তর পশ্চিম থানাধীন রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটের সামনে অহিদ মিয়া (২৭) হত্যা মামলা, উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও কালচারাল ডিপার্টমেন্টের এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলা এবং উত্তরা পূর্ব থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে জহিরুল ইসলাম শুভ (২৮) হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ঢাকা  মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গত ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) গুলশান থেকে গ্রেফতার করে। এর আগে গত ১৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এই সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। জাহাঙ্গীর আলম এ বছরের ৭ জানুয়ারি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিনকে গত ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) দুপুরে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে । তিনি উত্তরা পশ্চিম থানায় সাতটি ও উত্তরা পূর্ব থানায় পাঁচটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।