শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সরকার লেবানন থেকে তালিকাভূক্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন করতে প্রস্তুত। ৫০ জন প্রবাসীর প্রথম দলটির ২০ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
হোসাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ২০ ও ২২ অক্টোবর প্রায় ৫০ জন করে দুই ভাগে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ তিনি জানান, বৈরুত থেকে আসা ফ্লাইটগুলোতে সীমিত আসন পাওয়ায়, প্রত্যাবাসনকারী সংখ্যা সীমাবদ্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, ফ্লাইটের সক্ষমতা বিবেচনায় আমরা একটি বড় দলকে সমুদ্রপথে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার বিকল্প খুঁজছি, যেখান থেকে তারা বাংলাদেশে আসবে। সরকার প্রক্রিয়াটি সহজতর করার জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
হোসেন উল্লেখ করেন যে লেবাননে আনুমানিক ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে, তবে মাত্র ১৮ শ’ জন ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৬০ জনের কাছে প্রয়োজনীয় আইনি কাগজপত্র রয়েছে। অনেকের কাগজপত্রের অভাব প্রত্যাবাসনকে কঠিন করে তুলেছে, কারণ লেবানন ত্যাগ করতে হলে প্রস্থান ছাড়পত্র এবং ফি প্রয়োজন। তৌহিদ বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি চলমান সংঘাত সত্ত্বেও, দেশে ফিরে আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে ফিরে যেতে দ্বিধা বোধ করছেন। কেউ কেউ লেবাননের তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এলাকায় থাকায় সেখাইে কাজ চালিয়ে যেতে চাচ্ছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংঘাতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করছে।
এর আগে, প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ সচিব মো. রুহুল আমিন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুর রহমানের সঙ্গে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের মিশন প্রধানরাও জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে এতে অংশ নেন।
গত সপ্তাহে, লেবাননে বাংলাদেশ মিশন প্রত্যাবাসনে তালিকাভুক্তির জন্য ফিরে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের উৎসাহিত করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।