বাসস
  ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:১৫
আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:১৩

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে হাইতির অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণ

 ঢাকা, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : হাইতির উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারিত করার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। দরিদ্র ক্যারিবিয়ান দেশটি শক্তিশালী বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সংগ্রাম করছে। জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে এএফপি এখবর জানায়।

 মোট ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের সবাই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে ‘অস্ত্র এবং এ সম্পর্কিত সমস্ত ধরণের সামগ্রী’ হাইতিতে পাঠানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞায় শুধুমাত্র ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ প্রেরণ বন্ধ রাখা।

ইকুয়েডর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবে নির্দিষ্ট হাইতিয়ানদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটির এক বছরের পুনর্নবীকরণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদ প্রথম ২০২২ সালের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করে, কিন্তু সেই সময়ে এই ব্যবস্থা শুধুমাত্র অপরাধী চক্রের একজন নেতা জিমি চেরিজিয়ারকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে, রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে চেরিজিয়ার একটি সমন্বিত অপরাধী চক্রের বিদ্রোহ শুরু করে, যার ফলে শেষ পর্যন্ত দেশটির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ এবং একটি অন্তর্বর্তী পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

তারপর থেকে, একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী হাইতির সংগ্রামী পুলিশ বাহিনীকে সমর্থন করার জন্য সেদেশে এসেছে, যদিও অপরাধী চক্রগুলো তাদের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে যাচ্ছে।

অক্টোবরের গোড়ার দিকে, পন্ট সোন্ডে শহরে গ্রান গ্রিফ চক্রের এক আক্রমণে কমপক্ষে ১০৯ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ গণহত্যার মধ্যে একটি।

এই চক্রের নেতা, লাকসন এলান, কয়েক দিন আগে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়েছিল, এখন যাতে সাত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন প্রতিনিধি ডরোথি শিয়া শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন যে হাইতির পরিস্থিতি ‘এখনো ভয়াবহ।’

তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাইতির নিরাপত্তা ও মানবিক সংকট নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অনেক মানুষ চলমান সহিংসতার শিকার হচ্ছে।’

 কেনিয়া মিশনকে সহায়তার জন্য নভেম্বরে ৬০০ অতিরিক্ত পুলিশ অফিসার পাঠাবে। এই মিশন গত বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছিল কিন্তু এটি জাতিসংঘের কোন শান্তিরক্ষা মিশন নয়।