বাসস
  ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৯

ষোড়শ সংশোধনীর ‘রিভিউ’ শুনানি কাল আপিল বিভাগের কার্যতালিকায়

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ (বাসস) : বিচারপতিদের অপসারণের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা ‘রিভিউ’  আবেদন কাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানির কার্যতালিকায় এসেছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আপিল বিভাগের কাল রোববারের কার্যতালিকায় দেখা যায়, ৭৫১/২০১৭ সিভিল রিভিউ পিটিশনটি ১ নম্বর আইটেম হিসেবে শুনানির জন্য রয়েছে।
‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক’ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে কোর্ট পরিচালনার জন্য বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না বলে প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্ত বুধবার বিকেলে জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতিদের অপসারণের কোন বিধান এখন না থাকায় বিচারপতিদের অপসারণের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের রিভিউটি আগামী ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগে ১ নম্বর আইটেমে শুনানির জন্য থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৩৭ নম্বর ক্রমিকে থাকা আইটেমটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগে মেনশন করেন রিটকারি পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদালতকে বলেন, এটার বিষয়ে ইনস্ট্রাকশন দরকার। তাই সময় চাচ্ছি। এরপর সর্বোচ্চ আদালত বলেন, ‘ওয়ান উইক আফটার ভ্যাকেশন’ এটি শুনানির জন্য আসবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয়জন আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের দেয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। সে আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন। বহুল আলোচিত ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে, দেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। তবে আপিল বিভাগের দেয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।