শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ২০ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ৭ জেলেকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছে, রায়পুর উপজেলার চরঘাসিয়া এলাকার আবদুর রবের ছেলে হারুন ব্যাপারী (১৯), এনায়েত উল্যাহর ছেলে সোহাগ হোসেন (২২), মোস্তফা দেওয়ানের ছেলে জসিম উদ্দিন (২১), বিল্লাল হোসেনের ছেলে খোরশেদ আলম (২০), চরইন্দুরিয়া এলাকার কাদির চকিদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন(২৩), উত্তর চরবংশীর স্বপন হাওলাদারের ছেলে আমির হোসেন (২৪) ও কামাল গাজীর ছেলে বোরহান উদ্দিন (৩০)। পরে শনিবার গভীররাতে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এসময় ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও এক লাখ মিটার কারেন্ট জালজব্দ করা হয়।
শনিবার মধ্যরাতে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার চান্দার খাল এলাকার মেঘনা নদীতে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভ’মিও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: শাহেদ আরমান। এসময় মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৭ জেলেকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৬ জেলেকে ১৫দিন ও একজনকে ৭দিন করে কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। অভিযান পরিচালনা কালে মৎস্য কর্মকর্তা, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় মৎস্য আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। এ নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে মাছ শিকার করায় আনুমানিক প্রায় এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৭টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। আটক সাত জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদ- প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান খাঁন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ও জাটকা সংরক্ষণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৬০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, প্রায় ৫০ কেজি ইলিশ ও ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৯জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ৬জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় ও জাটকা সংরক্ষণের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞাকালীন মাছ শিকারে নদীতে নামলে আটক ব্যক্তির সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ে দ-িত করার বিধান আছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার ইলিশের অভয়শ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ একশ কিলোমিটার এলাকায় সকল ধরনের মাছ ধরা ও জালফেলা সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করছে মৎস্য বিভাগ।