শিরোনাম
ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজ বলেছেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে। ঢাকায় এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দামের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে না। সরকার নয়, গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের ৫০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করার পরিকল্পনা রয়েছে, এখন থেকে জ্বালানি খাতে সমস্ত কেনাকাটা কোনও আলোচনার মাধ্যমে না হয়ে, উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে হবে। অন্তর্র্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে তা রাজনৈতিক দলগুলো জানতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত সংস্কারের জন্য বর্তমান সরকার খুব বেশি সময় পাবে না। ধান কাটার মৌসুমের মতো দাবি আদায়ের কথা উল্লেখ করে খান বলেন, সরকার পল¬ী বিদ্যুৎ সমিতির সব যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী চাকরির জন্য অস্থায়ী কর্মীদের দাবি বিবেচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। দ্রুত ঘোষণা করা সম্ভব নয়। এটি আর্থিক সমস্যাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নয়, আউটসোর্সিং কর্মীরা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ছিল।
সরকারের অবস্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে খান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকার যে কোনো মূল্যে এটা করবে। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য দায়ী, আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তাদের বলি, আপনারা শান্তি দাবি করতে পারেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব, কিন্তু বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। দাবির নামে নৈরাজ্য আমরা মেনে নেব না। আমাদের ওইসব সাবস্টেশন ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতি সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, সরকার চলতি মাস বা আগামী মাসের প্রথম দিকে উন্মুক্ত দরপত্রে যাবে।