শিরোনাম
ঢাকা, ২১ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) বাংলাদেশের বিমান শিল্পের অব্যাহত বিকাশের জন্য পূর্ণ সমর্থন প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সিএএবি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের সেবুতে অনুষ্ঠিত সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবির ভূঁইয়া, আইসিএও কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সালভাতোর স্কাচিটানো ও সেক্রেটারি জেনারেল হুয়ান কার্লোস সালাজারের মধ্যে বৈঠকের সময় এ আশ্বাস দেওয়া হয়।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ অক্টোবর সমাপ্ত ৫৯তম আইসিএও মহাপরিচালক অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আইসিএও’র উভয় নেতাই এভিয়েশন সেক্টরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
এবার সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শেপিং দ্য ফিউচার অব এভিয়েশন : সাসটেইনেবল, রেজিলিয়েন্ট এন্ড ইনক্লুসিভ’। এতে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৩৯টি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচলের চেয়ারপারসন ও মহাপরিচালক এবং ১১টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ‘ব্যালেন্সিং রেগুলেটরি রিকোয়ারমেন্টস অ্যান্ড ইনোভেশন ইন এভিয়েশন’ ও ‘দি রোল অব এভিয়েশন টেইনিং ইন শেপিং এ সাসটেইনেবল, রিসিলিয়েন্ট এন্ড ইনক্লুসিভ এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক দুটি মূল আলোচনাপত্র উপস্থাপন করা হয়। আইসিএও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কাছে আলোচনাপত্রগুলো বেশ সমাদৃত হয়।
সিএএবি চেয়ারম্যান সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ফ্রান্স ও জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয় এবং বেশ কয়েকটি দেশ এই শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে।
তারা বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরকে আন্তর্জাতিক মানদ-ে উন্নীত করতে, নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ এবং বিমান পরিষেবার উন্নয়নে সহায়তার প্রস্তাব দেন।
তারা জানায়, এই প্রচেষ্টা বাংলাদেশের বিমান শিল্পকে আরো আধুনিক, নিরাপদ ও বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক করতে অবদান রাখবে।