বাসস
  ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১৬
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:১০

ফেনীতে ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত

ফেনী, ২২ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস) : চলতি বছরের জানুয়ারি হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় ৯মাসে  সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ৪০ ব্যক্তি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। ৬ জন আঞ্চলিক সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ৪৩টি এবং সাধারণ ডায়রি হয়েছে ৫টি। তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্র এবং ফাজিলপুর ও মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ সূত্র।

সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় মানুষের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে না থাকার কারণ প্রসঙ্গে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান দারা বলেন, দুর্ঘটনার জন্য প্রধানত দায়ী চালক। সকল চালকের যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা, অনেক চালকের নূন্যতম শিক্ষা নেই, সড়কে যানচলাচলে ব্যবহৃত চিহ্নগুলো না চেনা দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া সড়ক-মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, আঞ্চলিক সড়কে বেপরোয়া অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং চালকদের বেপরোয়া গতির মানসিকতা দুর্ঘটনাপ্রবণ করে তোলে। এরপর যাত্রীর অসচেতনতা।

দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় প্রসঙ্গে নিসচা ফেনীর সাধারণ সম্পাদক বলেন, নিসচা অস্থায়ী কার্যালয়ে চালকদের তথ্যগত প্রশিক্ষণ নিয়মিত চলছে। চালকদের সঠিকভাবে গড়ে তোলা গেলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে। তাদের বলা হয়ে থাকে, পথচারী সচেতন নয়, এটি বিবেচনায় রেখেই সড়কে গাড়ি চালাতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকারিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডোপটেস্ট গান ও মাত্রাতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে স্পীড গান রয়েছে মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ও ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশের কাছেও। পুলিশ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে এ যন্ত্রগুলো যথাযথ ব্যবহার করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

কুমিল্লা হাইওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম সরদার বলেন, মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে তৎপর রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তৎপরতার অংশ হিসেবে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগানের মাধ্যমে গাড়ির গতি পরীক্ষা করা হয়। ওই সময় অতিরিক্ত গতিতে চলাচলকারী গাড়ির চালকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। চাঁদাবাজীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সক্ষম সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যেকারণে পুলিশ সদস্যের চাঁদাবাজী করা কোন সুযোগ নেই। এছাড়াও পুলিশের গায়ে বডি ওন ক্যামেরা রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহিপাল হাইওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছে। এর বিপরীতে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ  মোহাম্মদ রাশেদ খাঁন চৌধুরী জানান, চলতি বছরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৯টি দুর্ঘটনার তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮জন ।  ফাজিলপুর হাইওয়ে থানায় ৩৫জনসহ জেলায় মোট ৪৩জন আহত হয়েছে ।  বিভিন্ন অপরাধে পরিবহণকে মামলা দেওয়া হয়েছে ১হাজার ৭২৬টি। সিএনজি আটোরিকশা  আটক করা হয়েছে ১হাজার ৭৩৪টি। দুর্ঘটনারোধে ডোপটেস্ট ও স্পীড গান ব্যবহার করা হচ্ছে।

মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, মহাসড়কে ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে পুলিশ সংকট রয়েছে। ধ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। জনগণ সচেতন না হলে দুর্ঘটনা রোধ করা অসম্ভব।